প্রবাস জীবনের হাজারো কর্মব্যস্ততার মধ্যেও আমাদের সবারই মনে পড়ে দেশের সেই উৎসব মুখর দিনগুলির কথা। ছবির মতো মনের মধ্যে ভাসে উৎসবের বিভিন্ন আনন্দের স্মৃতি। কানের মধ্যে যেন বাজে শাঁখের আওয়াজ, কাসরের ঘণ্টা আর ঢাক, ঢোলের বাজনা। আর বাতাসে যেন পাই ধূপ ধূনার গন্ধ। মন তাই নিজের অজান্তে ছুটে যায় সেই দিনগুলিতে যখন আমাদের অনেকেই কোনো না কোনো ভাবে জড়িত ছিলাম সেই সব উৎসবের আয়োজনে। কখনো নিজেদের পাড়াতে দাদা আর বন্ধুদের সাথে, আবার কখনো কখনো স্কুল কলেজে সহপাঠিদের সাথে। ধর্মীয় উৎসব হলেও সাম্প্রতিক কালে আমাদের প্রজন্মে এগুলো সবই যেন সকল বাঙালীর উৎসবে পরিণত হয়েছে। দল বেঁধে বন্ধুরা একত্রে উপভোগ করতাম পূজার আনন্দ, নাচ, গান, বাজনা আর পেট ভরে খেতাম পূজার প্রসাদ, খিচুড়ি, লুচি, পায়েশ আরও হরেক রকমের মজার মজার পিঠা। বাংলার এমনি পরিবেশ ধ্বনিত হয় গানের এই কলিতেও “বাংলার বৌদ্ধ, বাংলার হিন্দু, বাংলার খ্রিষ্টান, বাংলার মুসলমান- আমরা সবাই বাঙালী...”। ‘উৎসব’ তেমনি একটি পরিবেশে বাঙালীর বিভিন্ন উৎসব উদযাপন করার আকাঙ্ক্ষা নিয়েই জন্ম নেয় এই বছরের শুরুতে।
আনন্দ মূখর সেই বিগত দিনগুলির স্মৃতি আমাদের মনে নতুন করে আশা জাগালো এই প্রবাস জীবনেও উৎসবের আনন্দে মেতে উঠার জন্য। আর সেই সাথে হাজারো বছরের পুরানো বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিভিন্ন দিক এখানে অন্যান্যদের সামনে তুলে ধরার জন্য এবং সবচেয়ে প্রয়োজনীয় – আমাদের নতুন প্রজন্মকে বাঙালী সংস্কৃতি ও কৃষ্টিতে অবহিত ও উৎসাহিত করার জন্য। যাতে করে তারা যেন পাশ্চাত্যের সংস্কৃতির প্রভাবে নিজেদের উৎস ও সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন না হয়ে পরে। বরং তাকে সংরক্ষিত করে ও পাশ্চাত্যের সংস্কৃতির পাশাপাশি নিজস্ব সংস্কৃতিকেও সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, এই উদ্দেশ্যেও এইসব চিন্তাধারাই উৎসবের জন্মের মূল উৎস।
উৎসব এখনো নবজাত শিশু! আপনাদের সবার সহযোগিতায় উৎসব হাঁটতে শিখবে আর দৃঢ়পায়ে সামনে এগিয়ে যাবে, এই আমাদের প্রত্যাশা। আগামী উৎসবের দিনগুলিতে “উৎসব” এর কার্যকলাপযদি আপনাদের মনে একটু আনন্দ এনে দিতে পারে, আর দেশে ফেলে আসা উৎসবের দিনগুলির বিগত স্মৃতি আংশিকভাবেও বাস্তবে রূপান্তরিত করার সহায়তা করতে পারে তাতেই হবে “উৎসব” এর সৃষ্টির সার্থকতা।
অন্যদিকে একবিংশ শতাব্দীতে বিশ্বায়নের ও ইন্টারনেটের যুগে গোটা পৃথিবীটা যেন ক্রমশঃ ছোট হয়ে আসছে। যোগাযোগ ব্যাবস্থার ক্রমোন্নতি আর অর্থনৈতিক উন্নয়নে সৃষ্ট বিভিন্ন আঞ্চলিক জোটের আওতায় অনেক দেশেরই ভৌগলিকসীমারেখাক্রমশস্নানহয়েআসছে। যার ফলে অনেক দেশেরই জনসংখ্যা, বিভিন্ন জাতি, ধর্ম ও বর্ণে সংমিশ্রিত একটি আন্তর্জাতিক জনগোষ্ঠীতেপরিণতহচ্ছে। আর তারই প্রভাব আমাদের শহরতলীর শহরগুলিতেও দেখতে পাচ্ছি। প্রতিবেশী নিজ জাতি, ধর্ম বা বর্ণের না হলেও মানুষ হিসেবে সম্মান, ভালোবাসা ও সাহায্যের হাত বাড়াতে হবে। জাতি, ধর্ম ও বর্ণের গণ্ডী পেরিয়ে মানুষ হিসাবে মানুষকে ভালবাসতে হবে, বুঝার ও জানার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই আমাদের আত্মা সন্তুষ্ট থাকবে। আত্মার অসন্তোষইনাকিঝগড়াঝাঁটিরমূলকারণ। আমাদেরযেসত্ত্বাআছে, যেচেতনাআছেতানিয়েবেঁচেথাকাসম্ভব, কিন্তুতাতেআত্মাসন্তুষ্টথাকবেনা। তার জন্য চাই আনন্দ। আর সেই আনন্দের জন্যই “উৎসব” এর প্রয়োজন। ধর্ম, নিষ্ঠা ইত্যাদির নিয়ম কানুন মেনেই আমরা যদি একে অন্যকে বুঝার ও জানার চেষ্টা করি এবং নিজেদের তথা সমগ্র মানবজাতির কল্যাণে একটি অতিক্ষুদ্র প্রয়াসে লিপ্ত থাকতে পারি, তাতেই হবে "উৎসব" এর জন্মের অন্যতম সার্থকতা।
উৎসব উ – উল্লাসে ভরপুর;
ত – তড়িৎ বেগে কাজ করতে উৎসাহী;
স –সততায় বিশ্বাসী;
ব –বন্ধুসুলভ মনোভাব ও পরিবেশে বেষ্টিত একটি সংগঠন।
উৎসব উৎ - উৎসাহিত, উৎসবের আনন্দে মেতে উঠতে;
স – সংস্কৃতি ধরে রাখতে ও তুলে ধরতে;
ব - বাঙালীত্ব বজায় রাখতে।
Utshab: A Bengali/Bangladeshi organization in the Greater Boston area, established in 2010, to promote and share rich Bengali Culture among diverse communities within New England area as well as to teach, encourage and help our new and young generation so that they learn, respect, love, retain and promote the cultural heritage of their forefathers and also be ready to lead when their turn comes. We would like to spread the power of giving, sharing, helping, forgiving, selflessness and love through our cultural and voluntary activities.
To help and inspire building a greater peaceful, caring, loving, healthy and thriving community that live in harmony among its constituents of smaller communities with rich but diverse cultural heritages through respect and mutual understanding.
Our Beej Mantra: “We ..not I; Ours...not Mine” (Ami Noy, Amra; Amar Noy, amader)
The organization shall become a center to promote and observe the ethical values, religious and cultural traditions of Sanatan Religion and build a harmonious society where everyone can live with love and respect for one another.
Dr.Madhu S Malo
President
Phone:781-270-3642
Dip Talukder
Organizing Secretary
Phone: 617-335-3438
Pratap Chandra Shil
Vice President
Phone:857-205-5741
Pritilata Baidya (Bobi)
Entertainment Secretary
Phone:617-331-5839
Biswarup Dasgupta
General Secretary
Phone:301-633-781
Ram Kanai Das
Executive Member
Phone:917-403-2403
Hara Prasad Chowdhury
Joint Secretary
Phone:617-821-6759
Subrata Das
Executive Member
Phone:617-447-9010
Dilip Das
Treasurer
Phone:617-230-2299
Sumon K. Nath
Executive Member
Phone:617-785-8007
Somapti Malo
Cultural Secretary
Phone:978-944-4197
Dr.Binoy paul
Phone:617-471-5951
Dr.Anita Bhattachrjaya
Phone:978-794-1926
Dr.Ashish Dev
Phone:978-635-1153
Dr. Tilok Shen
Phone:781-862-0157
Tapan Shaha
Phone:617-820-8273
Dr Anup Deb
Phone:617-275-9899
Utshab is unique because we founded and built it together in 2010. It is a symbol of our Unity. "We are one heart, we are one hand, and we are one family. We're the people filled with hope and pride, a belief in staying side by side, working shoulder by shoulder and Celebrating gather by gather T-O-G-E-T-H-E-R............"
I love New England Hindu Society (UTSHAB) because it allows me to become part of the Community. It has great opportunities to love and share, respect and express our opinions without fear. Where we can trust ourselves to put our families together."